প্রতিবেদন

ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কি ভাবছে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে? পর্ব ২

ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কি ভাবছে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে? পর্ব ২

ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কতটা ভাবছে সেটা আমরা সুন্দরবন, মুর্শিদাবাদ, ঝাড়গ্রাম এবং কলকাতার ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে সার্ভে করে বের করেছি।  এর পরে আমরা দেখে নেবো জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মতামত।  এই নিয়ে আমাদের বিশেষ প্রতিবেদন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কি ভাবছে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে এর দ্বিতীয় পর্ব।

বর্তমান বিশ্বের একটি অন্যতম বড় সমস্যা হলো জলবায়ু পরিবর্তন। এরফলে সমগ্র জীবজগৎ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। হারিয়ে যাচ্ছে অনেক প্রজাতির উদ্ভিদ, প্রাণী। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, অত্যাধুনিকতা, বাসস্থান এবং চাষবাস এর চাহিদায় ব্রক্ষছেদন ইত্যাদি ঘটনাই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান কারণ। জলবায়ু পরিবর্তন এর ফলে প্রতিবছর পৃথিবীর তাপমাত্রা প্রায় ০.০৫℃ করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে, দুই মেরুর বরফ গোলে সমুদ্রের জলস্তর বেড়ে যাচ্ছে। ডুবে যাচ্ছে উপকুলবর্তী এলাকাগুলো। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রতিটি ঋতুর আগমনের সময় এবং স্থায়িত্বের ছান্দিক পদ্ধতি ব্যাহত হচ্ছে। ফলে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বিপর্যয়ের সৃষ্টি হচ্ছে।

নিলয় পাল, গ্রাম – রাজাপুর ( তালদি ), জেলা – পশ্চিমবঙ্গ

 

বেশি করে গাছ লাগাতে হবে । জমির ফসল কাটার পরে অবশিষ্ট অংশ পোড়ানো যাবে না । কলকারখানার বর্জ্য পদার্থ নদীতে, সমুদ্রে ফেলা কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে । পেট্রল ডিজেল গাড়ির পরিবর্তে LPG গাড়িতে ব্যবহার করতে হবে । তাহলে দূষণ অনেক কম হবে, তা জলবায়ু পরিবর্তনের পক্ষে অনেক প্রভাব ফেলবে।

অদ্রিতা দে, নেতাজি কলোনি, কোলকাতা

দূষণকারী ব্যাক্তিগত যানবাহনের ব্যবহার কমাতে হবে। গ্ৰীন হাউস গ্যাস গুলির পরিবেশে উৎপাদন এবং সঞ্চয় বৃদ্ধির বিষয়ে বিশ্বের প্রতিটি দেশকে সাবধানি এবং সংবেদনশীল হতে হবে। অরণ্য ধ্বংস করে বাড়ি-ঘর বা কলকারখানা স্থাপন করা চলবে না। সর্বপরি প্রতিটি মানুষকে বৃক্ষরোপণ এবং তার সংরক্ষণে উদ্দ্যোগী হতে হবে। এই ভাবে আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে কিছুটা মুক্ত হতে পারি।

তানিশা পণ্ডিত, নূতনদীহি, ঝাড়গ্রাম 

বর্তমানে বিজ্ঞানের অগ্রগতির ফলে আমরা বিভিন্ন ধরনের কাজ অনায়াসেই করতে পারি। যেমন, AC, Refrigerator ইত্যাদির ব্যবহার। এর ফলে বিভিন্ন ক্ষতিকারক গ্যাস (CFC, NO, NO2, CH4 )বায়ুমন্ডলের stratosphere স্তরে অবস্থিত ওজনস্তর কে ক্ষতিগ্রস্ত করছে ও জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটাচ্ছে।

দীপান্বিতা বিশ্বাস, সাগরপাড়া, মুর্শিদাবাদ

জনসংখ্যা বৃদ্ধি,প্রচুর পরিমানে বৃক্ষচ্ছেদন,নগরায়ন,ভৌম জলের অপব্যবহার,কলকারখানা যানবাহন বৃদ্ধি,বর্জ্যপদার্থ যত্রতত্র ফেলা,জমির শস্য পোড়ানো ইত্যাদির ফলে উষ্ণতা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে,বরফ গলছে,দূষণ বাড়ছে,বাতাসে বিভিন্ন ক্ষতিকারক গ্যাসের পরিমান বাড়ছে।

মঞ্জরী চক্রবর্তী, গ্রাম – দরিয়া, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা 

আমার মনে হয় যে পৃথিবীতে অতিরিক্ত পরিমাণে গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। যার ফলস্বরূপ পৃথিবীর জলবায়ু ভীষণভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে। এছাড়াও মানুষ রেফ্রিজারেটর , এ সি ইত্যাদি থেকে নির্গত CFC , Co2 ইত্যাদি পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি করছে। তাই আমার মনে হয় যে এইসব এর ব্যবহার যদি কিছুটা হলেও কমানো যায় তবে হয়তো জলবায়ু কিছুটা হলেও স্বাভাবিক হতে পারে।

মেঘা ঘোষ, ওস্তাদ আমির খান সরণী, হরিদেবপুর, কোলকাতা

মানুষের অতিরিক্ত গাড়ি চালান, অযাচিত ভাবে গাছ কাটা ইত্যাদির কারনে বাতাসে CO2, NO2, SO2, জলীয় বাষ্প ইত্যাদির পরিমান বাড়ছে যার ফলে global warming হয়েছে এবং পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বাড়ছে এবং জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে ।

কমলিনী সরকার, এম জি রোড, কোলকাতা 

মানুষ নিজেদের স্বার্থে প্রকৃতিকে ধ্বংস করে বসতি স্থাপন করছে এবং অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করছে নিজেদের সুখ – স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য। আমার মনে হয়, প্রকৃতিকে ধ্বংস করার মধ্য দিয়ে মানুষ তার নিজেরই ধ্বংসের পথে অগ্রসর হচ্ছে। এসম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজন রয়েছে।

চিরস্মিত বৈদ্য     কুমারসা, ক্যানিং ; দক্ষিণ ২৪ পরগনা  

Leave a Comment