সদ্য প্রকাশিত হওয়া আইপিসিসি রিপোর্টের পর্যালোচনা করবে সবুজ পৃথিবী। এই রিপোর্টের বিশেষ রিভিউয়ার হিসেবে ছিলেন সবুজ পৃথিবীর অরিন্দম রায়। এই রিপোর্ট থেকে মোটামুটি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম পর্বে আমরা সংক্ষেপে আলোচনা করব এই রিপোর্টের মুল বক্তব্য। পরের পর্ব গুলোয় দুই বাংলার জন্যে কি অশনি সঙ্কেত আনতে চলেছে জলবায়ু পরিবর্তন সেই নিয়ে বিশদে আলোচনা হবে।
ক) বিশ্বের সব মানুষের ওপরে প্রভাব পড়লেও ৪০ শতাংশ মানুষ সাংঘাতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে। এই ৪০ শতাংশ মানুষ সেই সব দেশের যারা একেবারেই জলবায়ু পরিবর্তনের কারন অর্থাৎ গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ করে নি, যেমন আফ্রিকা এবং দক্ষিন এশিয়ার দেশ গুলি। আফ্রিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাবে কিছু বছরের মধ্যে। প্রথম বিশ্বের ধনী দেশের উন্নয়নের ফল ভোগ করছে তৃতীয় বিশ্বের গরীব দেশ গুলি।
খ) মেশিন ব্যবহার করে বা প্রযুক্তি দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন আটকানো যাবে না। কার্বন ডাই অক্সাইড শুষে নেয় এরকম মেশিনগুলি চালাতে এবং বানাতে যা কার্বন ডাই অক্সাইড বাতাসে মিশবে তা তাদের শোষণের থেকে বেশি। কাজেই জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়তে হবে প্রাকৃতিক সমাধান গুলিকে নির্ভর করে।
গ) আমাদের হাতে আর বেশি সময় নেই, বলা ভালো আর একেবারেই সময় নেই। যত দেরি করবো করব আমরা তত বেশি ক্ষতির পরিমান বাড়বে। শুধু মাত্র ইলেকট্রিক গাড়ি বা সৌর শক্তিতে টাকা খরচ করলে চলবে না, জলবায়ু শিক্ষা, স্বাস্থ্য, এবং অসাম্য দূরীকরণে খরচ করার প্রয়োজন। প্রকৃতিকে ঠিক রাখতে খরচা করতে হবে।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঢাকা এবং কলকাতার বিপদের শেষ নেই। সাইক্লোন, সমুদ্র তল বৃদ্ধি এবং বন্যার থেকে সাংঘাতিক ক্ষতি নিয়ে বিজ্ঞানীরা একরকম নিশ্চিত। সাথে তাপ প্রবাহ, জল সঙ্কট এবং দুম করে প্রচুর বৃষ্টির আগমন নিয়েও বিজ্ঞানীরা মোটামুটি নিশ্চিত। যে গতিতে শহরের জনসংখ্যা বাড়ছে তাতে এক দুই দশকের মধ্যে মোটামুটি ছেড়ে ডে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা কেউ আটকাতে পারবে না যদি না এখন থেকে প্রস্তুত হই আমরা।
আইপিসিসি বেশি কিছু শহরের রিস্ক নিয়ে কথা বলেছে এবং এশিয়ার শহর গুলির মধ্যে ঢাকা এবং কলকাতা নিসন্দেহে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সব থেকে ক্ষতির মুখে পড়বে।