জলবায়ু পরিবর্তনের একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল হল এক্সট্রিম ইভেন্টের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া। মানে বন্যা, খরা, সাইক্লোনের মত বিপর্যয়গুলির সংখ্যা বাড়তে থাকা। এই ছবিতে আমরা ১৯৬০ থেকে ২০১৮ অব্দি প্রায় ১০,০০০ বিপর্যয়ের একটা তথ্য ভাণ্ডার। লাল বিন্দু গুলি হল খরা, নীল গুলি তাপপ্রবাহ, হলুদগুলি বন্যা এবং সবুজ বিন্দু গুলি ঝড়। নরওয়ের বিজ্ঞানী এলিজাবেথ রসভল্ডের বানানো এই তথ্য ভাণ্ডারের ছবিতে তুলে ধরলাম আমরা।
প্রথম ছবি থেকে যেটা বোঝা যাচ্ছে যে লাতিন আমেরিকা, আফ্রিকা এবং এশিয়া মহাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে খরা হয়েছে শেষ ছয় দশকে। আমেরিকার পূর্ব উপকুলে আবার তাপ প্রবাহের সাথে সাথে বন্যার ঘনঘটা। ইউরোপে আবার তাপপ্রবাহের সাথে সাথে খরার প্রাদুর্ভাব ঘটেছে।
যদি ভারত এবং বাংলাদেশের দিকে নজর দি আমরা, দেখব, মধ্য ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে খরা হয়েছে। হিমালয়ের জুড়ে বন্যার ঘনঘটা। বাংলাদেশ জুড়ে তাপপ্রবাহের সাথে সাথে ঝড় এবং বন্যা। বাংলাদেশের ছোট অঞ্চলের তুলনায় অনেক বেশি দুর্যোগ সহ্য করেছে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বন্যার সংখ্যা চোখে পড়ার মত। পরের পর্বে আমরা দেখব সময়ের সাথে সাথে কি ভাবে কতটা বাড়ছে এই দুর্যোগগুলি।
তাপপ্রবাহ বলতে এখানে এক্সট্রিম টেম্পারেচার বলা হয়েছে যার সংজ্ঞা হল স্বাভাবিকের থেকে ১০ ডিগ্রি বেশি তাপমাত্রা যা বেশ কয়েক দিন বা সপ্তাহ জুড়ে যদি কোন অঞ্চলের ওপর থাকে। এর বাংলা প্রতিশব্দ পেলে জানান আমাদের।
এক্সট্রিম টেম্পারেচার এর বাংলা প্রতিশব্দ হতে পারে ‘দুঃসহনীয় তাপমাত্রা’ অথবা ‘অসহনীয় তাপমাত্রা’
.
জাহের হাদী,
২৯.০৩.২০২২
খুলনা, বাংলাদেশ।