ওজোন গ্যাস দুরকমের, ভালো এবং খারাপ। ভালো ওজোন গ্যাস বায়ুমণ্ডলের ওপরে থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করে আর খারাপ ওজোন মাটির কাছাকাছি সৃষ্টি হয় যা শরীরের এবং ফসলের সাঙ্ঘাতিক ক্ষতি করে। এ সম্পর্কে আরও বিষদ জানতে হলে টুকিটাকি পড়ে নিও।
বাড়িতে ওজোন মাপার জন্যে দুটো সাধারন রাসায়নিক চাই যেটা খুবই কম মুল্যে দোকানে পেয়ে যাবে, আর রসায়ন বা জীবন বিজ্ঞানের ল্যাবরেটরি তে তো পাবেই। একটা হল পটাসিয়াম আয়োডাইড (KI) এবং স্টার্চ। ১০ মিলিলিটার জলে প্রথমে ১ গ্রাম (ছোট চামচের এক চামচ) পটাসিয়াম আয়োডাইড গুলে নাও তারপর তাতে ১ গ্রাম স্টার্চ পাউডার মিশিয়ে গুলে নাও। পুরোটা গুলে গেলে এবার একটা সাদা কাগজ (যেকোন) নিয়ে তাকে সরু করে কেটে (স্কেলের মত প্রস্থ) ওই দ্রবনে ডুবিয়ে বাড়ির বিভিন্ন জায়গায়, পাড়ায়, রাস্তার মোড়ে ৩০ মিনিট রেখে দাও। বাতাসের ওজোন পটাসিয়াম আয়োডাইডের সাথে বিক্রিয়া করে আয়োডিন তৈরি করে যা স্টার্চের সাথে বিক্রিয়া করে লালচে রং দেয়। বাতাসে ওজোন যত বেশি হয় লালচে রং ও তত গাড় হয়।
আচ্ছা এবার তোমায় জানতে হবে বাতাসের আপেক্ষিক আদ্রতা কত? সেটা জানতে হলে তোমার নিজের একটা আবহাওয়া দপ্তর থাকা খুব জরুরি। সেটা বানাতে হলে এই লিঙ্কে ক্লিক কর।
৩০ মিনিট পরে তুমি দেখবে সাদা কাগজের রঙ পাল্টে খানিকটা লালচে হয়ে গেছে। নিচের রং-স্কেলের সাথে মিলিয়ে দেখোতো কোন জায়গার রঙ কেমন হয়েছে।
এবার তোমার আবহাওয়া ষ্টেশন থেকে চট করে দেখে নাও আপেক্ষিক আদ্রতা কোথায় কতখানি ছিল? এই বাড়ি ভালোকরে নিচের গ্রাফটা দেখো।
যদি তোমার কাগজের রঙ ১ হয় আর আপেক্ষিক আদ্রতা ৩০-৪০% এর মধ্যে থাকে তাহলে বাতাসে ওজোনের পরিমান ৪০ পি.পি.বি বা পার্টস পার বিলিয়নের একটু বেশি, অর্থাৎ বাতাসে প্রতি ১০০ কোটি গ্যাস অনুর মধ্যে ৪০ টি অনু হল ওজনের। আবার যদি কাগজের রঙ ৬-৭এর মধ্যে হয় আর আপেক্ষিক আদ্রতা ৩০-৪০% এর মধ্যে থাকে তাহলে বাতাসে ওজোনের পরিমান ১৬০ পি.পি.বি এর একটু বেশি। মোটামুটি ৫০ পি.পি.বি এর ওপর যদি বাতাসে ওজোন থাকে তা শরীরের জন্যে ক্ষতিকারক বলে ধরা হয়।
তোমরা এবার দেখ, কোথায় ওজোন সব থেকে বেশি? রাস্তায় না বাড়িতে? কোন ঋতুতে ওজোন বেশি? শীতকালে না বর্ষাকালে? তোমাদের সব প্রশ্নের উত্তর দিতে তৈরি আমরা। জানাও আমাদের।