বাচ্চাদের জন্য

বীজ কাগজ বানিয়ে ফুল জঞ্জালে ফুল ফোটাবার টেকনিক: ঘরে বসে এক্সপেরিমেন্ট

বীজ কাগজ বানিয়ে ফুল জঞ্জালে ফুল ফোটাবার টেকনিক: ঘরে বসে এক্সপেরিমেন্ট

সামনের রবিবার মানে একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের সাথে থাকবেন বাংলাদেশ থেকে মাহবুব সুমন, যিনি বনকাগজ বানিয়ে চমকে দিয়েছেন সবাইকে। বন কাগজ যে শুধুমাত্র ফেলে দেওয়া কাগজ দিয়ে হাতে করে বানানো কাগজ তাই নয়, বন কাগজ ব্যবহারের পরে ফেলে দিলে তা থেকে নানান প্রজাতির চারা গাছ জন্ম নেবে। আজকে আমরা শিখে নেব যে কিভাবে আমরা ঘরে বসে আমাদের ছোট ছোট বন্ধুরা বীজ কাগজ নিজের হাতে বানাতে পারে।

বিচ কাগজ নিজের হাতে বানানোর জন্য আমাদের লাগবে ব্যবহার করা খাতা বা ফেলে দেওয়া বইয়ের পাতা (খবরের কাগজ এবং ফেলে দেওয়া যে কোন কাগজে তোমরা ব্যবহার করতে পারো), এর সাথে লাগবে একটা ছালনি (তারজালি), কাঁচি, খল নুড়ি বা মিক্সি, বিভিন্ন গাছের বীজ, শুকনো কাপড়, বড় ট্রে।

কাঁচি ব্যবহার করবার সময় অবশ্যই বড়দের সাহায্য নিও বন্ধুরা।

সবার প্রথমে ফেলে দেওয়া পেপার গুলোকে কুচি কুচি করে কাঁচি দিয়ে কেটে ফেলো, হাত দিয়েও ছোট ছোট করে ছিঁড়তে পারো। এইবারে কুচি কুচি হওয়া পেপার গুলিকে একটি বাটিতে নিয়ে সমপরিমাণ জল ঢেলে দিয়ে ঘন্টা দুয়েক ভিজতে দাও (তাড়াহুড়ো থাকলে পেপারগুলো কে কুচি কুচি করে জল ঢেলে ভালো করে মাখতে থাকো হাতে করে)। এইবারে ভেজা পেপার গুলিকে জল থেকে তুলে পরিষ্কার জল মিশিয়ে মিক্সিতে মিহি করে বেটে নাও। মিক্সি ব্যবহার করতে না পারলে খল নুড়ির সাহায্যে অথবা হাতে করেই একটা পেস্টের মতো তৈরি করো।

এইবারে এই কাগজ ও জলের পেস্টটি কে একটা বড় পাত্রে ঢেলে নাও। এইবারে যে চালনি বা তারজালিটি আছে, সেটি সাহায্যে তোমরা এই পেস্টটিকে তোল এবং জল ঝরিয়ে নাও যতটা সম্ভব। যত মোটা হবে পেস্ট টি, ততটাই কাগজটি ও মোটা হবে। একটি শুকনো সুতির কাপড়ের সাহায্যে চাপ দিয়ে জল শুষে নাও। জল ঝরিয়ে এবার ওপর থেকে বীজগুলো ছড়িয়ে দাও। কাগজ পিছু কুড়ি থেকে পঁচিশ খানা বীজ ছড়ালেই যথেষ্ট। এরপর খুব সাবধানে কাগজের পেস্টটিকে তারজালি থেকে আলাদা করো এবং শুকনো গামছা বা তোয়ালে দিয়ে কাগজটিকে আবৃত করে ওপরে একটি বই চাপিয়ে দাও। এইভাবে ২৪ ঘন্টা রেখে দিলেই তোমার হাতে বানানো বীজ কাগজ তৈরি হয়ে যাবে।
মাহবুব সুমনের কাজ দেখতে ক্লিক করো এই লিংকটিতে। আর বীজ কাগজ বানানোর জন্য এই ভিডিওটি দেখতে পারো।

Leave a Comment