বাচ্চাদের জন্য

চট জলদি বানিয়ে ফেল অ্যাসিড বৃষ্টি নেটওয়ার্ক

চট জলদি বানিয়ে ফেল অ্যাসিড বৃষ্টি নেটওয়ার্ক

উপকরন

জল ধরার পাত্র

লিট্মাস পেপার

৬-৭ জন পরিবেশ পাগল

অ্যাসিড বৃষ্টি নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। অ্যাসিড বৃষ্টির ফলে যেমন সরাসরি ক্ষতি হতে পারে প্রাণীদের তেমনই ফসল বা গাছেরও ধ্বংস করে এই ধরনের বৃষ্টি। গবেষণায় দেখা গেছে যে শুধুমাত্র বড় বড় শহরেই না, অ্যাসিড বৃষ্টি বিশ্বের বিভিন্ন জনমানবহীন অঞ্চলেও হতে পারে। তাই তোমার এলাকাতে অ্যাসিড বৃষ্টি হয় কিনা জানার জন্যে ৬-৭ জন বন্ধু মিলে একসাথে একটা নেটওয়ার্ক বানিয়ে ফেল। তোমার এলাকা যদি খুব বড় হয় তাহলে সেই এলাকায় সব জায়গায় বৃষ্টি একইরকম নাও হতে পারে। তাই পুরো এলাকার কোথাও অ্যাসিড বৃষ্টি হচ্ছে কিনা জানার জন্যে আমাদের একত্রিত হয়ে অনেক গুলো জায়গায় বৃষ্টি মাপতে হবে।

বৃষ্টিপাত মাপা হয় ইঞ্চি বা সেন্টিমিটারে। অদ্ভুত না? পাত্রের যে কোন অংশের প্রস্থছেদ সমান হলে যে কোন পাত্র দিয়েই বৃষ্টিপাত মাপা সম্ভব। নিচের ছবিটা মন দিয়ে দেখ, পাত্র বড় ছোট যেমনই হোক না কেন বৃষ্টিপাতের ফলে সবকটি পাত্রের মধ্যে থাকা জলের উচ্চতা একই রকম সমান।

শেষে আমি বেশ কয়েকটা লিঙ্ক দেব, যা দেখে তোমরা সহজে মজার বৃষ্টি-মাপক যন্ত্র বা রেইন গজ বানাতে পারবে। রেইন গজটি এমন জায়গায় রেখো যাতে বৃষ্টি সরাসরি পড়ে। অর্থাৎ কার্নিশ ধোয়া জল বা গাছ থেকে জলের ছিটে যেন রেইন গজে না পড়ে। একই ভাবে রেইন গজটি ছাদ/মাটি থেকে খানিকটা উঁচুতে যেন থাকে। যাতে বৃষ্টির জল মাটিতে পড়ে ছিটকে এসে রেইন গজে না ঢোকে। রেইন গজটি কে দাঁড়াবার সাপোর্ট দেওয়ার জন্যে যদি ইট জাতীয় কিছু ব্যাবহার করা হয়, তাহলে ইট গুলিকে প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে দিও নইলে ইট ধোয়া জল রেইন গজের ভেতরের বৃষ্টির জলের অ্যাসিডিটি পাল্টে ফেলতে পারে।

বৃষ্টি শেষ হয়ে গেলে আগে দেখে নাও দেখে নাও কতটা জল হয়েছে। সেটা সব সময় মেসারিং সিলিন্ডার দিয়ে মাপতে হবে তা নয়। একবার মেসারিং সিলিন্ডার দিয়ে বিভিন্ন পরিমান জল রেইন গজে ঢেলে রেইন গজের বাইরে মার্কার পেন দিয়ে লিখে রাখলেই কেল্লা ফতে। ও হ্যাঁ, মার্কার পেনের কালির ওপর সেলোটেপ আটকে দিতে ভুলো না যেন।  এইবার লিট্মাস পেপার বৃষ্টির জলে ডুবিয়ে অম্লত্ব মেপে নাও।

মনে রেখ, বৃষ্টির জলের স্বাভাবিক বা নিউট্রাল pH কিন্তু ৭.০ নয়, ৫.৬। এটা কেন জানতে পড়ে নিও এই প্রবন্ধটা। ২৪ ঘণ্টা অন্তর এই ভাবে তুমি এবং তোমার বন্ধুরা নানান জায়গা থেকে বৃষ্টির জল সংগ্রহ করে মাপতে থাক।

একই বৃষ্টিতে তুমি এবং তোমার বন্ধুরা কি একই রকম pH পাচ্ছো? যদি না পাও, তার মানে কিন্তু তোমার এলাকার বিভিন্ন রকমফের আছে। দেখো দিখিনি, যে বন্ধুর এলাকার কাছে কারখানা আছে বা গাড়ি বেশি চলে, সেখানে কি pH, ৫.৬ এর নিচে? আবার যদি কারো বাড়ির কাছে চাষের জমি থাকে, সেখানে pH কেমন? আবার বর্ষাকালে বৃষ্টির pH কেমন আর শীত বা গ্রীষ্মের বৃষ্টির pH কেমন?

 

 

ছবি – উইকিপেডিয়া

লিঙ্ক – https://www.youtube.com/watch?v=JVOxLrMaWA8

https://www.youtube.com/watch?v=IU9CsbAkRbc

https://www.youtube.com/watch?v=QOzdcM-YZ2U

 

Leave a Comment