গ্রিন হাউস গ্যাসগুলি পৃথিবীর তাপমাত্রা আস্তে আস্তে বাড়াচ্ছে। যদিও এই ব্যাপারে নাক সিটকানো অবিশ্বাসী লোকের সংখ্যা নেহাত কম না। তোমরা তোমাদের আশেপাশে যদি এরকম কোন মানুষকে পাও তাহলে ৫ মিনিটে প্রমান করে দিও যে গ্রিন হাউস এফেক্ট কি!। এই পরীক্ষাতে আমরা কার্বন ডাই অক্সাইড নিয়ে কাজ করব। তোমরা জান যে শিল্প বিপ্লবের পর থেকে বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইড বাড়তে শুরু করেছে এবং এটি একটি গ্রিন হাউস গ্যাস যা পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়িয়ে যাচ্ছে।
উপকরনঃ
দুটি দুই লিটারের প্লাস্টিকের বোতল, দুটি থার্মোমিটার, বেকিং সোডা (এক চামচ), ভিনিগার (এক কাপ ছোট), সেলোটেপ।
প্রথমে প্লাস্টিকের বোতলগুলির ঢাকনাতে একটি ফুটো করে ফেলো ( বড়দের উপস্থিতিতে করো। গরম সরু রড বা কাঁটা কম্পাস দিয়ে খুব সাবধানে ফুটো করো। এবার সেই ফুটো দিয়ে থার্মোমিটার ঢুকিয়ে দাও। দেখো যাতে থার্মোমিটারের শেষ ভাগ বোতলের ওপরে থাকে। থার্মোমিটারের শেষভাগকে সেলোটেপ দিয়ে বোতলের ছিপির ওপর জড়িয়ে দাও। পুরো ব্যাপারটা এরকম ভাবে করো যাতে বোতলের ঢাকনার প্যাঁচ দিতে অসুবিধা না হয়।
এবার একটা বোতলের ঢাকনা খুলে এক চামচ বেকিং সোডা দাও (পেপারে করে ঢাললে সুবিধা), তার সাথে এককাপ ভিনিগার বোতলে ঢালো। বেকিং পাউডারে ভিনিগার ঢালার সাথে সাথে বুদবুদ উঠতে থাকবে, এই বুদবুদ আসলে কার্বন ডাই অক্সাইডের। সাথে সাথে বোতলের ঢাকা বন্ধ করে দাও। এবার দুই বোতলকে পাশাপাশি সূর্যের আলোতে পাঁচ মিনিট রেখে দাও। বাল্বের তলায়ও রাখতে পারো, সেক্ষেত্রে খেয়াল রেখো যাতে দুটি বোতল বাল্ব থেকে সমান দূরত্বে থাকে।
পাঁচ মিনিট পর থার্মোমিটারের পারদ কোথায় আছে লক্ষ্য করো। দেখবে, কার্বন ডাই অক্সাইড এর বোতল অন্য ফাঁকা বোতলের তুলনায় বেশি গরম হয়েছে। অর্থাৎ সুস্পষ্ট ভাবে গ্রিন হাউস গ্যাসগুলি পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ায়। তোমরা এক চামচের জায়গায় দুই বা তিন চামচ বেকিং সোডা দিয়ে দেখতে পারো তাপমাত্রা বাড়ছে কিনা। কোন অসুবিধা হলে আমাদের লিখে জানাও। আমরা উত্তর দেব। দেখে নিতে পারো এই ভিডিওটাও।