টুলকিট

উন্নয়ন এবং রাতের আলো : পর্ব ১

উন্নয়ন এবং রাতের আলো
উপগ্রহের থেকে নেওয়া রাতের আলোর ছবিকে দেওয়ালির ভারতবর্ষের ছবি বলে ভুল আমরা করেছি। কিন্তু আজ আমরা দেখব, দুই দশকেরও বেশি সময় তফাতে রাতের আলো কেমন ছিল ভারতবর্ষ এবং বাংলাদেশে।
সেই সত্তরের দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্স মিটিওরোলজিক্যাল স্যাটেলাইট প্রোগ্রামের উদ্যোগে এক ঝাঁক কৃত্রিম উপগ্রহ রাতের শহরের ছবি তুলত। কিন্তু সেই ছবি ঠিক ঝকঝকে ছিল না খানিকটা অস্পষ্ট। কিন্তু তার অনেক পরে, নাসার সওমি উপগ্রহ একেবারে অত্যাধুনিক ঝাঁ চকচকে ছবি তোলার ব্যবস্থা করে। দিনের বেলার উপগ্রহের ছবি থেকে আমরা নানান বিষয় জানতে পারি, কিন্তু রাতের উপগ্রহের ছবি মজাদার কিছু বিষয় তুলে ধরে।
যেমন ধরা যাক, দুই দশকেরও বেশি ব্যবধানে তোলা এই দুটি ছবি দেখলে পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে বিভিন্ন শহর গুলি কেমন বিস্তার করেছে। শহরতলীগুলি কেমন করে শহরের সাথে মিশে গেছে বা ছোট্ট জনপদ গুলি হরেদরে বেড়ে উঠেছে তা খুব ভালো করে বোঝা যায়। আবার গ্রাম আর শহরের পার্থক্য করতেও এই তথ্য জরুরি। মানে ধরা যাক এই রাতের আলোর উজ্জ্বলতার ওপর ভিত্তি করে, দিব্বি এটা গ্রাম আর ওটা শহর বলে দেওয়া যায়।
আবার, রিসার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার একদল গবেষক রাতের আলোকে উন্নয়নের সহযোগী সুচক হিসেবে ব্যাখা করেছেন। অর্থাৎ যত বেশি রাতের আলো বাড়বে তত বেশি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও নাকি বাড়বে। তবে কৃষি নির্ভর ভারতবর্ষ বা বাংলাদেশের অঞ্চলগুলিতে এই নিয়ম খাটবে না। তবে হ্যাঁ, উন্নয়নশীল দেশগুলিতে গ্রাউন্ড ডেটা বা তথ্যের অভাব বড়ই প্রকট। কাজেই একটা গোদা আন্দাজের জন্যে এই রাতের আলোকে ব্যবহার করা যেতেই পারে। আজ প্রথম পর্বে এই টুকুই, কাল আমরা দেখব এই রাতের আলোকে কি ভাবে হাতে কলমে কাজে লাগানো যায় কলকাতা এবং ঢাকার জন্যে।
নিচের দুটি ছবি, ওএলএস এবং ভিআইআরআরএস উপগ্রহ চিত্রের ডেটাকে কাজে লাগিয়ে বানানো হয়েছে। কি কি পার্থক্য বোঝা যাচ্ছে কমেন্টে লিখে জানাতে পারেন।

Leave a Comment