এলপিজি গ্যাসের দাম তো আকাশ ছুঁচ্ছে। ১৯-২০ টাকা সাবসিডি, তাও পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে সরকার ঘরে ঘরে এলপিজি ঢুকিয়ে বায়ু দূষণ এবং গ্রিন হাউস গ্যাস কমাবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বসে আছে। আচ্ছা কল্পনা করুন যে সবার ব্যাংক আকাউন্টে লাখ লাখ টাকা ঢুকে গেছে আর এলপিজি ের দাম ও সেই একই আছে। তাহলে রাজ্য সুদ্ধ লোক এলপিজি কিনতে পারছে। কিন্তু ওমা, কিনতে গিয়ে বেশিরভাগ মানুষ দেখছে কই এলপিজি দোকান কই।
রাজ্যের যত গ্রাম শহর জনপদ আছে তাদের প্রত্যেককে একটা করে পয়েন্ট ধরলাম, আর রাজ্যের যত এলপিজি দকান আছে তাদের একটা করে পয়েন্ট ধরলাম। তারপর হিসেব করলাম সব থেকে কাছের এলপিজি দোকানের দূরত্ব কত। তবে এই দূরত্ব কিন্তু রাস্তার দূরত্ব না, একেবারে সোজাসুজি দুটো পয়েন্ট এর ব্যবধান। সেখানে দেখা যাচ্ছে, রাজ্যের বেশিরভাগ অঞ্চলে গ্যাস দোকান এবং জনপদের দূরত্ব সোজাসুজি বা এরিয়ালি ৮ কিলোমিটারের বেশি। এইবারে ভাবুন ১৫ কেজির সিলিন্ডার। আর ৮ কিমি দূরত্ব। এইবারে কলকাতা সহ জেলাসদর আর অন্যান্য শহর গুলো দেখুন। দেখবেন রঙ সাদা বা সবুজ, মানে ওখানে নিকটবর্তী এলপিজি স্টেসানের দূরত্ব ১ বা ২ কিমির মধ্যে।
বাঁকুড়া পুরুলিয়া থেকে শুরু করে ২৪ পরগনা বা উত্তরবঙ্গে শহরগুলি ছাড়া বাকি অংশ সেই লাল। মানে প্রতন্ত গ্রামে মানুষকে অন্তত ৮ কিমি যেতে হবে এলপিজি গ্যাসের সন্ধানে। আর ৮ কিমি তো সরাসরি দূরত্ব , রাস্তা দিয়ে যেতে সেই দূরত্ব হয়ত ২০ কিমিও হতে পারে, আরও বেশিও হতে পারে।অর্থাৎ কিনা, সরকার যদি আজিবঙ্কাল ফ্রি তেও এলপিজি বিলতে থাকে, তাও বেশিরভাগ অঞ্চলের মানুষ ই সেই সুবিধা নিতে মাইলের পর মাইল পথ হাটতে হবে। যাই হোক, ১৯ টাকা সাবসিডি দিয়ে গোটা দেশে এলপিজি তো অলীক স্বপ্ন, সাথে সাথে ইছা থাকলেও উপায় থাকবে না গোটা বঙ্গে