বন্ধুদের লেখা

পাগল বোটানিস্টদের কাণ্ড এবং স্থানীয় জৈববৈচিত্র্য

পাগল বোটানিস্টদের কাণ্ড এবং স্থানীয় জৈববৈচিত্র্য

কলমে :

সঞ্চারী রায়চৌধুরী, শিবহাটি হাই স্কুলসঞ্চারী রায়চৌধুরী, নবম শ্রেণির ছাত্রী, শিবহাটি হাই স্কুল

 —————————————————————————————————————

জীববৈচিত্র্য! কথাটা অনেক সহজ সরল বলে মনে হলেও বর্তমানে পৃথিবীতে এই জীববৈচিত্র্য টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজকাল প্রায়ই খবরের কাগজ, T. V, রেডিওতে শোনা যাচ্ছে পৃথিবী থেকে একের পর এক প্রাণী এবং উদ্ভিদ এর সংখ্যা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে ।যার ফলে বর্তমানে নানান সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে ।কিন্তু এই জীববৈচিত্র্য হ্রাসের জন্য দায়ী কে? ঠিক ধরেছ !এর জন্য দায়ী একমাত্র মানুষ।

মনুষ্যসৃষ্ট বিভিন্ন কারণে জীববৈচিত্র্য ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে।এই জীববৈচিত্র্য হ্রাসের প্রধান কারণ গুলির মধ্যে অন্যতম কয়েকটি হলো-(i)প্রাকৃতিক সম্পদের অধিক ব্যাবহার ।(ii)পরিবেশ দূষণ।(iii)প্রাণী এবং উদ্ভিদের খাদ্য এবং বাসস্থান হ্রাস (iv)জলবায়ু পরিবর্তন।

এখন জীববৈচিত্র্য হ্রাসের জন্য পৃথিবীকে বার বার সংকটের মুখে পড়তে হচ্ছে । সংকটের মুখে পড়তে হচ্ছে বিভিন্ন উদ্ভিদ এবং প্রাণী কেও। তাই এই পৃথিবী যখন আমাদের তখন এই পৃথিবী এবং পৃথিবীর সমস্ত জীবদের রক্ষা করার দায়িত্বও আমাদের কেই নিতে হবে। কিন্তু এখন প্রফেসর. শঙ্কুর গল্পের অবিনাশ বাবুর মতো কিছু লোক চোখ বাঁকিয়ে, মুখ বাঁকিয়ে বলবেন সমস্ত জীব দের রক্ষার দায়িত্ব আমরা কেন নিতে যাবো? তার উত্তরে আমরা শিক্ষার্থীরা বলবো -হ্যাঁ এর দায়িত্ব আমাদের কেই নিতে হবে । কারণ আমরা সব জীবেরা একে অপরের উপর নির্ভরশীল। আমরা সকলেই জানি অনেক প্রাণী এবং উদ্ভিদ থেকে নানা রকম ওষুধ তৈরি হয় । তাই জীববৈচিত্র্য হ্রাস পেলে বিভিন্ন রোগ নিরাময়কারী ওষুধও পাওয়া যাবে না, গ্রহের ও অনেক ক্ষতি হবে । ফলে আমাদের এখন জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এর উপায় বের করতে হবে।

শহর ও শুহুরে পথ ,ও দেওয়ালের ফাটলে বেড়ে ওঠা কিছু বিচিত্রময় নিম্নমানের উদ্ভিদের নাম

ইউরোপের শুহুরে পথ ,ও দেওয়ালের ফাটলে বেড়ে ওঠা কিছু বিচিত্রময় নিম্নমানের উদ্ভিদের নাম

বর্তমানে উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরা ইউরোপের বিভিন্ন শহর ও শুহুরে পথ ,ও দেওয়ালের ফাটলে বেড়ে ওঠা কিছু বিচিত্রময় নিম্নমানের উদ্ভিদের নাম ,ও গুরুত্ব রাস্তায় চক দিয়ে লিখে এক অসাধারণ গ্রাফিটি তৈরি করেছেন ।যা বহু মানুষ এর পছন্দ হয়েছে। ফ্রান্সে 2017 পার্ক,রাস্তাঘাট ও অন্যান্য পাবলিক প্লেসে এবং 2019 সালে বাগানে কীটনাশক ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। যার ফলে দেশে ,শহরে বন্য ফুলের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্রান্সের উদ্ভিদবিদ এবং প্রচারক লন্ডনে বসবাসকারী সোফি লেগুইল ফ্রান্স “সওভেজ দে মা রু”(“আমার রাস্তার বন্য জিনিস”) চকিং প্রচারণায় সহায়তা করেন। যুক্তরাষ্ট্রের “more than weed’s campaign”শুরু করেন তেলা বোটানিকার নেতৃত্বে। তিনি আমাদের পদদলিত উদ্ভিদ কে তুলে ধরার জন্য হ্যাকনির মহাসড়ক গুলি চক এবং চকের পথ তৈরির অনুমতি পেয়েছে। ফলে কিছুটা হলেও বন্য ফুল গুলি রক্ষা পেয়েছে।

শহর ও শুহুরে পথ ,ও দেওয়ালের ফাটলে বেড়ে ওঠা কিছু বিচিত্রময় নিম্নমানের উদ্ভিদের নাম

বর্তমানে শহরে অনেক বাড়িতে সাজানোর জন্য এই রকম বিভিন্ন ছোট ,ছোট বিদেশি ফুল ব্যবহার করা হচ্ছে। এই রকম ভাবে ধীরে ধীরে এই উদ্ভিদ গুলির ব্যবহার বাড়াতে হবে। এর পাশাপাশি আমাদের অনেক স্থানীয় গাছ লাগাতে হবে ।কারণ এগুলি পরিবেশগত ভিত্তি যার উপর বন্যজীবন নির্ভর করে। স্থানীয় উদ্ভিদগুলি বিদেশি প্রজাতির তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি বন্যপ্রাণী সমর্থন করে। তারা স্থানীয় জলবায়ু, মাটির ধরন এবং বন্যপ্রাণীর সাথে খাপ খাইয়ে নিয়েছে এবং এগুলি ছাড়া দেশীয় বন্যজীবন টিকবে না। বৈচিত্র্যময় এবং সমৃদ্ধ উদ্ভিদ থাকা কেবল সামাজিক ও পরিবেশগতভাবেই গুরুত্বপূর্ণ নয় – চাষাবাদ এবং পর্যটনের মাধ্যমে তাদের প্রচুর অর্থনৈতিক সুবিধাও রয়েছে। গাছপালা জীবনের জন্য অত্যাবশ্যক। এর সাথে জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য একটি স্থানীয় উদ্ভিদ বাগান তৈরি করতে হবে ,সেখানে পাখি এবং অন্যান্য প্রাণীদের লালন -পালন করতে হবে এবং টিকিয়ে রাখতে হবে।নাহলে, এভাবে জীববৈচিত্র্য হ্রাস পেতে থাকলে একদিন পৃথিবীতে মানুষ ও বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তাই মনে করুন আমাদের নিজেদের স্বার্থেই আমাদের এই জীবজগত কে বাঁচাতে হবে ।পদদলিত প্রাণী এবং উদ্ভিদ কে বাঁচাতে হবে।সুস্থ করে তুলতে হবে এই পৃথিবী কে।

শহর ও শুহুরে পথ ,ও দেওয়ালের ফাটলে বেড়ে ওঠা কিছু বিচিত্রময় নিম্নমানের উদ্ভিদের নাম

Leave a Comment