কিছুদিন আগেই পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশার বিভিন্ন অঞ্চলে সাইক্লোনের প্রভাবে ঝড়ো হাওয়া এবং বৃষ্টিপাত লক্ষ্য করা গেছে। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গাতে প্রায় ৮০-১২০মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। উড়িষ্যাতে কিছু কিছু জায়গাতে এই সময় ৩০০ মিলিমিটারের ও বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
যদি আমরা খেয়াল করে দেখি, আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সবসময় বৃষ্টিপাতের একক ইউনিট হিসেবে মিলিমিটার বা সেন্টিমিটার বলা হয়। অমুক জায়গায় এত মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। অর্থাৎ বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আমরা দৈর্ঘ্যের একক হিসাবে বর্ণনা করি। কিন্তু কেন? বৃষ্টির ক্ষেত্রে ভলিউম বা আয়তন বর্ণনা না করে, কেন দৈর্ঘ্যের একক হিসেবে বর্ণনা করা হয়?
ধরা যাক আমরা বৃষ্টিপাতের একক আয়তনে হিসাবে বলছি অর্থাৎ মিলিমিটার বা লিটারে বৃষ্টিপাত কে বর্ণনা করছি। এবারে কেউ বৃষ্টিপাত মাপছে একটা বালতি দিয়ে, কেউ আবার একটা চোঙ্গার সাহায্যে, আবার কেউ হয়ত একটা গামলা দিয়ে। এক্ষেত্রে দেখা যাবে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন পরিমাণে বৃষ্টির জল ধরছেন এবং ফলে বৃষ্টির বিভিন্ন পরিমাণ পাচ্ছেন। হলে কখনোই সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না যে কোন একটি জায়গাতে কতটা বৃষ্টি হয়েছে।
বৃষ্টিপাত মাপার জন্য, আবহাওয়াবিদরা একটি চোঙ্গার সাহায্য নেন যার প্রস্থচ্ছেদ সমান হয়। নিচের ছবিটি দেখলে আরো পরিস্কার হয়ে যাবে আমার বক্তব্যটা। অর্থাৎ প্রস্থচ্ছেদ সমান এরকম যেকোন জিনিস নিয়েই আপনি বৃষ্টিপাত মাপলে দেখতে পাবেন যে প্রত্যেকটি পাত্রেই সমান উচ্চতায় জল জমা হয়েছে। এক্ষেত্রে আপনার পাত্রের আয়তনের বা আকারের উপরে কোন ভাবে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ নির্ভর করবে না। ফলে আপনি যে পাত্র নিয়েই মাপুন না কেন, তার প্রস্থচ্ছেদ যদি সমান হয় সব সময়, আপনি বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ও সব সময় সমান পাবেন। এই কারণে বৃষ্টি মাপার সময় জলের ভলিউম বা আয়তন না মেপে জলের উচ্চতা মাপা হয়।
আরো পড়ুন
অতীতের ম্যাপ থেকে পরিবেশ পরিবর্তন চিহ্নিত করুন
মাটি ছাড়া গাছ হাইড্রোপনিকসের খেল! বাড়িতে বসে এক্সপেরিমেন্ট