টুকিটাকি

 ভুল ধারণা থেকে বেরোন: বাড়িতে মানিপ্লান্ট রাখলে বায়ু দূষণ কমে না।

ভুল ধারণা থেকে বেরোন: বাড়িতে মানিপ্লান্ট রাখলে বায়ু দূষণ কমে না।

বিভিন্ন ওয়েব পোর্টালে বা ম্যাগাজিনের পাতার মাঝে মধ্যেই দেখা যায় অমুক গাছ বাড়িতে রাখুন বায়ুদূষণ কমে যাবে। মানি প্ল্যান্ট এর মত গাছেরা নাকি হু হু করে বায়ু দূষণকারী পদার্থ গুলিকে নিজেদের মধ্যে টেনে নিয়ে মানুষকে সুস্থ রাখে। এই মিথের শুরু ছিল নব্বইয়ের দশকে নাসার করা একটা গবেষণা যেখানে তারা একটা ছোট্ট আবদ্ধ চেম্বারে গাছ এবং বায়ু দূষক পদার্থ রেখে দেখান যে প্রায় ৭০ শতাংশের কাছাকাছি ক্ষতিকরকারী বায়ু দূষক পদার্থ গুলিকে একদিনের মধ্যেই গাছ বায়ু থেকে শোষণ করে নিচ্ছে।

কিন্তু সমস্যা হল ছোট্ট বদ্ধ একটা চেম্বার যার আয়তন ১ মিটার কিউবেরও কম, তার সাথে সত্যিকারের ঘরের পরিবেশের আকাশ-পাতাল তফাৎ। আয়তনে তফাৎ তো আছেই, তার সাথে সাধারন ঘরে বাইরের বাতাস এবং ভেতরের বাতাস সব সময় এক্সচেঞ্জ হতে থাকে। আমেরিকার ড্রেক্সেল ইউনিভার্সিটির দুই বিজ্ঞানী, ইনডোর প্লান্ট লাগিয়ে বায়ুদূষণ কমাবার দাবিকে সম্পূর্ণ নস্যাৎ করে দিয়েছেন, তাদের গবেষণার মাধ্যমে। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী – গাছেরা নিশ্চিতভাবেই উপকারী কিন্তু তাদের দ্বারা ঘর থেকে বায়ু দূষণ পরিষ্কার করা বৈজ্ঞানিকভাবে অযৌক্তিক।

তাহলে কি পূর্ববর্তী বিজ্ঞানীদের পরীক্ষাগুলি ভুল? এই দুই বিজ্ঞানীর মতে, পূর্ববর্তী বিজ্ঞানীরা হয় একটি অত্যন্ত ছোট চেম্বারে তাদের পরীক্ষাগুলো করেছিলেন অথবা তারা বাইরে বাতাসের ভিতর আসা এই ব্যাপারটিকে একেবারেই গুরুত্ব দেননি। এই দুই বিজ্ঞানী আরো দেখিয়েছেন যে ভেন্টিলেশনকে গুরুত্ব না দেওয়ার ফলে এই বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। তারা আরো বলছেন যে গাছ অবশ্যই ভিওসি জাতীয় বায়ু দূষণকারী পদার্থকে শোষণ করে, কিন্তু এর হার এতটাই কম যে ইনডোর এয়ার কোয়ালিটি বা ঘরের মধ্যেকার বায়ুদূষণ কে কমাবার জন্য যথেষ্ট নয়। বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে বলছেন যে একটা দু’কামরার ঘরে প্রায় ৭০০ টি মানিপ্লান্ট জাতীয় গাছ লাগালে তবে বায়ু দূষণের হার কমলেও কমতে পারে।

তাহলে উপায়? উপায় তো আপনার হাতেরই কাছে। ঘরের মধ্যেকার বায়ু দূষণের হাত থেকে বাঁচতে আমাদের আগের আর্টিকেলটা পড়ে ফেলুন।

Leave a Comment