ক্রিস্টোফার নোলানের নতুন সিনেমা মানে ভক্তদের মধ্যে আলোড়ন পড়ে যাওয়া। ইউটিউব জুড়ে সিনেমার শেষ দৃশ্যটি কি বোঝাতে চেয়েছে তার ভিডিও এবং ছাত্র বন্ধুর মত অসংখ্য সিনেমা বন্ধু যা সিনেমাটি দেখার আগে এবং পরে একবার করে দেখে নেওয়া অত্যন্ত জরুরী। টেনেট সিনেমাটিতে আমরা দেখি যে ভবিষ্যতের একদল মানুষ বর্তমান পৃথিবী কি ধ্বংস করতে চাইছে এবং আমাদের সিনেমার হিরো (নোলানের সিনেমার হিরো হয় না, প্রোটাগনিস্ট হয়) প্রাণপণে চেষ্টা করছে সেই ভবিষ্যতের মানুষদের আটকানোর।
এরমধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন এলো কোথা থেকে? কেন ভবিষ্যতের মানুষেরা বর্তমানের পৃথিবী কে ধ্বংস করতে চাইছে? তার কারণ হলো বর্তমান পৃথিবীর মানুষের নানাবিধ কর্মকাণ্ডের দরুন ভবিষ্যতের পৃথিবীতে সমুদ্র স্তর অত্যধিক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সাথে সাথে শুকিয়ে গেছে নদীগুলি। পরিবর্তিত জলবায়ুর সাথে লড়াই করতে না পেরে ভবিষ্যতের মানুষেরা বর্তমান সময়ের পৃথিবীকে ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নেয়। এটুকু শুনে আপনাদের মনে অনেক প্রশ্ন জাগতে পারে কিন্তু সেগুলির উত্তর জানতে হলে আপনাকে দেখে ফেলতে হবে সিনেমাটি।
অবশ্য জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে ক্রিস্টোফার নোলান এর আগেও কাজ করেছেন ইন্টারস্টেলারে। সেখানে তিনি দেখিয়েছিলেন ২০৬৭ সালে কিভাবে ধূলিকণার ঝড় এবং অণুজীবের আক্রমণ ফসলের ক্ষতি করে মানব সভ্যতাকে প্রশ্নচিহ্নের মুখে ফেলে দিচ্ছে।
বিজ্ঞানীদের অনুমান ২০৩০ সালের মধ্যে সমুদ্রতলের উচ্চতা সাড়ে চার ইঞ্চির কাছাকাছি বেড়ে যাবে যা উপকূলবর্তী শহর গুলির পরিকাঠামো কে সম্পূর্ণভাবে নষ্ট করে দিতে সক্ষম। সাথে সাথে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বন্যা খরা সাইক্লোন এবং ধুলো ঝড়ের মত নানান প্রাকৃতিক বিপর্যয় ক্রমাগত বেড়ে যাচ্ছে। বাড়ছে ফসলে পোকার আক্রমণ এবং বৃষ্টিপাতের অনিশ্চয়তা। তাই শেষ করি একটা অন্য রকমের ভাবনা দিয়ে। ভবিষ্যতের মানুষদের কাছে এমন টেকনোলজি ছিল যাতে টাইম ট্রাভেল করা সম্ভব। এমন উন্নত শ্রেণীর মানুষেরাও কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনকে আটকাতে পারেনি। কাজেই সময় থাকতে আমাদের তৈরি হওয়া খুবই জরুরী, প্রতিরোধ করা খুবই জরুরি, একত্রিত হওয়া খুবই জরুরী।
আরো পড়ুন বায়ুদূষণঃ অ থেকে চন্দ্রবিন্দুঃ কি করবেন কি করবেন না?