হাওড়ার এই অঞ্চলে ছিল জলাভূমির আঁতুড়ঘর। একাধিক পুকুর, ডোবা, জলাশয় ভর্তি ছিল এই অঞ্চল, বিক্ষিপ্ত ভাবে কিছু ঘর বাড়ি ছিল। আর ছিল প্রচুর সবুজ। ২০০০ সালের পর থেকে ক্রমাগত নগরায়ন এই অঞ্চলের পুকুর এবং অন্যান্য জলাভূমির অস্তিত্ব সঙ্কটে ফেলে দিয়েছে। ২০০৬ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে এই অঞ্চল জুড়ে বাড়ির প্রাচুর্য দেখা যেতে শুরু করে। ২০২১ সালে এসে দেখা যাচ্ছে, সবুজ বা পুকুরের অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। বাড়ি এবং রাস্তাঘাটে ঢেকে গেছে গোটা এলাকা। মরুভুমির মধ্যে মরূদ্যানের মত টিকে আছে ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের আসেপাশের অঞ্চল। তাও উপগ্রহ চিত্রে দেখা যাচ্ছে, সেখানেও শুরু হয়ে গেছে নগরায়ন। মাঠ এবং জলাভূমির অন্যতম গুরুত্ব হল বায়ু দূষণ এবং আরবান হিট আইল্যান্ড বা শহুরে উষ্ণ দ্বীপ পুঞ্জ থেকে বাঁচা। ফাকা জায়গায় বায়ু দূষণ কমে যায় বা বলা ভালো বায়ু দূষণকারী গ্যাস এবং ধূলিকণা ফাকা জায়গা পেলে ভালো ভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং ফলে উৎসের কাছাকাছি ফাকা মাঠ বা জলাশয়ের উপস্থিতিতে বায়ু দূষণের প্রভাব কমে যায়। একই সাথে কংক্রিটের জঙ্গলে মাঠ, গাছ এবং জল অনেকটাই বায়ুর তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া এই অঞ্চল অসংখ্য পাখি, প্রজাপতির বাসা। ডুমুরজলা বাঁচাতে লড়ছেন সাধারন মানুষ। হাওড়াতে থাকলে তাদের সাথে মানব বন্ধন এবং অন্যান্য কর্মসূচীতে যোগ দিন।