খবরা খবর

গরমে হাঁসফাঁস – সৌজন্যে জলবায়ু পরিবর্তন

গরমে হাঁসফাঁস – সৌজন্যে জলবায়ু পরিবর্তন

উত্তর ভারতের বেশির ভাগ অঞ্চল মার্চ মাসে এক ডজনেরও বেশি তাপপ্রবাহের ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে এবং ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের (IMD) পূর্বাভাস পূর্বাভাস অনুযায়ী অস্বাভাবিক গরম আবহাওয়া এপ্রিল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী কোন অঞ্চলে পর পর দুদিন, তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৪.৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা বেশি হলে অথবা দিনের সর্বাধিক তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে সেই অঞ্চলে তাপ প্রবাহ হচ্ছে বলে ধরা হয়। অত্যাধিক তাপমাত্রার সাথে সাথে আদ্রতা এবং রাতেও তাপমাত্রা না কমা একসাথে মানুষের শরীরের জন্যে ক্ষতিকারক হতে পারে।

তীব্র তাপপ্রবাহ, যা অতীতে বিরল ছিল, ভারতে বার্ষিক ঘটনা হয়ে উঠেছে। এই বছর, ১১ ই মার্চ ভারতের প্রথম তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছিল এবং তারপর থেকে বেশ কয়েকটি তাপপ্রবাহকে আবহাওয়া দপ্তর “গুরুতর” ঘোষণা করেছে। আইএমডি অনুসারে, কোন অঞ্চলের তাপমাত্রা, স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে ৬.৪ ডিগ্রির সেলসিয়াসের বেশি হলে একটি “তীব্র” তাপপ্রবাহ ঘোষণা করা হয়। ভারতের গুজরাট সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গুজরাটের কিছু অংশ মার্চ মাসে টানা ১১ দিন ধরে তাপপ্রবাহের সম্মুখীন হয়েছিল। অপেক্ষাকৃত ঠাণ্ডা রাজ্য, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং জম্মু ও কাশ্মীর ও এবার তাপপ্রবাহের সম্মুখীন হয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন যে অতীতে এই ধরনের তাপ-তরঙ্গের ঘটনাগুলি লক্ষ্য করা গেলেও এখন সেগুলি আরও তীব্র হচ্ছে এবং দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে৷

কলকাতা এবং দক্ষিনবঙ্গের জেলা গুলোয় আস্তে আস্তে পারদ উঠতে শুরু করেছে, এবং সাথে সাথে বাড়ছে আদ্রতা। এই দুইয়ের প্রভাবে শরীরে জলে ঘাটতি দেখা দেয় এবং হিট স্ট্রোক হতে পারে। এই অবস্থা থেকে বাঁচতে আমাদের বেশি বেশি করে জল, নুন চিনির সরবত খেতে হবে। দিনের বেলা যতটা সম্ভব রোদ এড়িয়ে চলা, এবং সেটা সম্ভব না হলে, মাথায় ঢাকা দিয়ে কাজ করতে হবে। একটু সহজ পাচ্য জিনিষ খাওয়া এবং প্রচুর পরিমানে জল খাওয়া খুব দরকার। তাপপ্রবাহে বাচ্ছা এবং বয়স্কদের সব থেকে বেশি সাবধানে থাকা দরকার।

Leave a Comment