টুকিটাকি

শীতকালে বাড়ির দূষণ থেকে কিভাবে রক্ষা করবেন আপনার বাচ্চাকে?

শীতকালে বাড়ির দূষণ থেকে কিভাবে রক্ষা করবেন আপনার বাচ্চাকে?

দেখতে দেখতে শীত পড়ে গেল। বোরোলিন আর বাঁদর টুপি বের করার সময় এসে গেলো। আর সাথে সাথে এসে গেল বায়ু দূষণের ভয় অর্থাৎ কিনা “ধোঁয়াসুরের” দাপাদাপি। সাধারণত গরমকালে তুলনায় শীতকালে বায়ু দূষণের পরিমাণ একটু বেশীই থাকে। কিন্তু এই মুহূর্তে করোনা পরিস্থিতির কারণে বাইরের দূষণের থেকেও বাড়ির ভেতরের দূষণ আপনার বাচ্চাকে বিপদে ফেলতে পারে। তাই আসুন একনজরে দেখে নি, কি করতে হবে আর কি ভুলেও করবেন না এই বিপদ থেকে পরিত্রান পাওয়ার জন্য।

প্রথমত, ঘরের মধ্যে বায়ুচলাচল বাড়ান। শীতকালে আমরা এমনিতেই ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে গুটিসুটি মেরে বসে থাকি। গুটিসুটি মেরে বসে থাকলে সমস্যা নেই, সমস্যা হল ঘরের দরজা জানলা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়াতে। বায়ু চলাচল একেবারে না হওয়ার কারণে দূষণের পরিমাণ কিন্তু বহুলাংশে বৃদ্ধি পেতে পারে। কাজেই অল্প সময়ের জন্য হলেও জানলা দরজা অল্প করে খুলে বায়ু চলাচল নিশ্চিত করুন।

দ্বিতীয়ত, শীতকালে অনেক সময়ই আমরা ঘরের ভেতর মশার ধূপ, ধুনো, রুম ফ্রেশনার ইত্যাদি স্প্রে করে থাকি। এই গুলি কিন্তু ঘরের মধ্যে বায়ু দূষণের অন্যতম প্রধান উৎস। এগুলি থেকে বেরোনো ভোলাটাইল অর্গানিক কম্পাউন্ড বা ভিওসি শরীরের সাংঘাতিক ক্ষতি করে।

তৃতীয়ত, ঘরের ভেতরে যে কোন ধরনের রান্না এবং রান্নার ধোঁয়া বায়ু দূষণের অন্যতম কারণ। হয়তো আপনি গ্যাসে রান্না করছেন কিন্তু গরম সরিষার তেলে জিরে শুকনো লঙ্কা দেওয়ার পরে যে ধোঁয়াটি ওঠে সেটিও যথেষ্ট ক্ষতিকারক।

শীতকালে আরো একটি জিনিসের থেকে সাবধান। এই সময় ঘরের মধ্যে বেশকিছু পরাগরেণু, ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক জাতীয় অণুজীবের আধিক্য দেখা যেতে পারে। এ থেকে হাঁপানি জাতীয় শ্বাসকষ্টজনিত অসুখ হতে পারে। সাবধান থাকুন ছাতনা পড়া দেওয়ালের অংশ অথবা মাটিতে বিছানো পুরনো কার্পেট থেকে। কাঁথা কম্বল এও নিয়মিত সূর্যের রোদ খাওয়াতে ভুলবেন না।

বাড়িতে যদি এসি থাকে, তাহলে নিয়মিত এসির ফিল্টার চেঞ্জ করুন আর সম্ভব হলে একটা ডিহিউমিডিফায়ার ব্যবহার করতে পারেন। আর যতই ঠান্ডা লাগুক ভুলেও ঘরের ভেতরে আগুন জেলে বসবেন না। যদি রান্নার জন্য আগুন জালাতেই হয় সে ক্ষেত্রে অন্তত জানলা খুলে ধোঁয়াটা বের করে দেওয়ার চেষ্টা করুন। একটা জিনিস মনে রাখবেন বাচ্চা এবং বুড়ো এই দুজনেরই বায়ু দূষণ থেকে বিপদ সবথেকে বেশি। W.H.O. এর মতে ঘরের ভেতরের বায়ুদূষণ প্রতিবছর 43 লাখ মানুষের প্রাণ নেয় কাজেই দয়া করে বায়ুদূষনকে হেলাফেলা করবেন না।

Leave a Comment