খবরা খবর

গ্লোবাল ওয়ার্মিং নাকি হচ্ছে না মেদিনীপুরে?

গ্লোবাল ওয়ার্মিং নাকি হচ্ছে না মেদিনীপুরে?

প্রথমেই বলি পৃথিবীর সর্বত্র গ্লোবাল ওয়ার্মিং (বিশ্বউষ্ণায়ন) এবং জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে এবং পৃথিবীতে অবস্থিত হওয়ায় মেদিনীপুরেও এর প্রভাব পড়ছে। তাহলে কি এমন হল যে সবুজ পৃথিবীকে শুরুতেই এরকম একটা প্রশ্ন করতে হল?

সম্প্রতি ১৯৪১ থেকে ২০১০ সালের তাপমাত্রার ডেটা নিয়ে পরীক্ষা করে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়, এগরা কলেজ এবং প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বৈজ্ঞানিক দেখেছেন মেদিনীপুরের গড় তাপমাত্রা কমছে। ২০০১ সালের পর থেকে গড় বাৎসরিক তাপমাত্রা অতীতের তুলনায় কমে গেছে প্রায় ২℃ (সেলসিয়াস)। বিজ্ঞানীরা আরও বলছেন যে দিনের সর্বচ্ছ তাপমাত্রাও কমে গেছে অতীতের তুললায়। যদিও বেড়েছে শীতকালের তাপমাত্রা। তাহলে কি মেদিনীপুরে হচ্ছে না গ্লোবাল ওয়ার্মিং?

গ্লোবাল ওয়ার্মিং মানেই বিশ্বের সব জায়গার তাপমাত্রা বাড়বে তা না, এর মানে সামগ্রিক ভাবে বিশ্বের তাপমাত্রা বাড়বে। মেদিনিপুরের মত বিশ্বের বেশ কিছু জায়গায় গড় তাপমাত্রার কমে যাওয়া লক্ষ্য করা গেছে, এর মধ্যে আছে আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা এবং চিনের বেশ কিছু অঞ্চল। তাপমাত্রা বিভিন্ন জিনিসের ওপর নির্ভর করে তার মধ্যে সেই জায়গার মাটি, দ্রাঘিমাংশ, মেঘ, জঙ্গল বা জলের উপস্থিতি ইত্যাদি। আমেরিকার বেশ কিছু জায়গায় এরকমই তাপমাত্রার হ্রাস লক্ষ্য করা গেছে যা বিজ্ঞানীদের মতে মাটিতে জলীয় বাস্পের বৃদ্ধি এবং বেশি মেঘাচ্ছন্ন হওয়ার কারনে হয়েছিল। মেঘ সূর্যালোককে মাটিতে পড়তে বাধা দেয় যার ফলে তাপমাত্রা কমে যেতে পারে (তবে মেঘ আর তাপমাত্রার সম্পর্ক বড়ই জটিল, সে গল্প আরেকদিন হবে)। ভেজা মাটিতে বাষ্পীভবনের ফলে তাপমাত্রা কমে যায়। এরকম কিছু বিচ্ছিন্ন উদাহরন থেকে ভেবে বসার কোন কারন নেই যে গ্লোবাল ওয়ার্মিং হচ্ছে না। সামগ্রিক ভাবে যে ভারতবর্ষের তথা বিশ্বের তাপমাত্রা বাড়ছে তা কিন্তু বিজ্ঞানীরা বারবার বলছেন

যাই হোক, ফেরা যাক মেদিনীপুরের কথায়। শীতকালের তাপমাত্রা কিন্তু বাড়ছে। এতে ক্ষতির মুখে পড়তে পারে আনাজ চাষিরা। গড় তাপমাত্রার দিক থেকে অবশ্য মেদিনীপুর বিশ্বের বেশিরভাগ জায়গার থেকেই আলাদা তা কিন্তু একশ বার সত্যি।

Leave a Comment