খবরা খবর

স্থাপিত হল ভারতবর্ষের প্রথম পলিনেটর পার্ক

স্থাপিত হল ভারতবর্ষের প্রথম পলিনেটর পার্ক

ভারতবর্ষের প্রথম পলিনেটর পার্ক বা পরাগ সংযোগকারী জীবদের আশ্রয় স্থল প্রতিষ্ঠা হলো উত্তরাখণ্ডের হালদোয়ানি এলাকায়। চার একর জায়গার ওপর গড়ে ওঠা এই পার্কে প্রায় ৪০ প্রজাতির মথ, প্রজাপতি, পাখি, মৌমাছি ইত্যাদির সংরক্ষন করা হবে। কৃষিক্ষেত্রে পলিনেটর বা পরাগ সংযোগকারী জীবের ভূমিকা সাংঘাতিক রকমের। বিজ্ঞানীরা বিশ্বজুড়ে চালানো গবেষণার মাধ্যমে দেখিয়েছেন যে এই পলিনেটররা না থাকলে প্রতিবছর প্রায় আড়াইশো থেকে সাড়ে পাঁচশ বিলিয়ন ডলার শুধু পরাগ সংযোগের জন্য চাষীদের ব্যয় করতে হতো। বর্তমানে ভারতবর্ষে মধু চাষের জন্য বেশিরভাগ সময়টাই ইউরোপিয়ান মৌমাছির ব্যবহার হয় ফলে ভারতের বেশকিছু দেশীয় প্রজাতির মৌমাছি বিপন্ন হয়ে পড়েছে। ভারতের একটি অত্যন্ত দুর্লভ মৌমাছি এপিস সেরানা ইন্ডিকা এই পার্কে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্বজুড়ে মৌমাছি এবং অন্যান্য পলিনেটর প্রজাতি গুলির সংখ্যা ক্রমশ কমছে। কাজেই দেশীয় প্রজাপতি মৌমাছি এবং অন্যান্য পলিনেটর প্রজাতিগুলো সংরক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।

এই প্রসঙ্গে দুটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলে রাখা ভালো। তৃতীয় বিশ্বের দেশ গুলির বায়ো-ডাইভারসিটি সংরক্ষন মূলত বড় স্তন্যপায়ী জীব দিয়েই সীমাবদ্ধ থাকে। যেমন হাতি, বাঘ, গন্ডার ইত্যাদি। সেই দিক থেকে মৌমাছি ও প্রজাপতির মতো অপরিসীম গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু ছোট প্রাণীদের সংরক্ষন অত্যন্ত প্রশংসনীয়। দ্বিতীয়ত, এপিস মেলিফেরা বলে মূলত ইউরোপের একটি মৌমাছিকে মধু চাষের জন্য সাংঘাতিক ভাবে ব্যবহার করার ফলেও দেশীয় মৌমাছিরা বিপন্ন হয়ে পড়ছে। একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে মৌমাছির দায়িত্ব কিন্তু শুধুমাত্র মানুষের জন্যে মধু তৈরি করা নয় পরাগমিলন করাও বটে।

 

Leave a Comment