খবরা খবর

জলবায়ু পরিবর্তনে দুই হাজার কুড়ি সালের সালতামামি

শুধুমাত্র কোভিডের জন্য নয় দুই হাজার কুড়ি সাল জলবায়ু পরিবর্তনের দিক থেকে এখন অব্দি হওয়া সবথেকে খারাপ বছর। আমরা দেখে নেবো যে দুই হাজার কুড়ি সালের জলবায়ু পরিবর্তন ঘটিত মুখ্য ঘটনাগুলি।

১) ২০২০ সাল দ্বিতীয় উষ্ণতম বছরের স্থান দখল করেছে। প্রথম স্থানে আছে ২০১৯।

২) আটিক রিজিয়নে এখনো অব্দি সব থেকে উষ্ণ গরম কাল এই বছরই রেকর্ড করা হয়েছে। পৃথিবীর অন্যতম শীতলতম স্থান ভারখয়ানস্ক। সেখানে ২২ শে জুন ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা লক্ষ্য গেছে যা স্বাভাবিকের থেকে প্রায় ১৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস বেশি।

৩) এই বছরে এক্সট্রিম ইভেন্ট অর্থাৎ বন্যা, খরা, সাইক্লোন ইত্যাদির কারণে হওয়া ক্ষয়ক্ষতি সর্বোচ্চ পরিমাণে লক্ষ্য করা গেছে। ভারত এবং চীনে বন্যা, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান, আফ্রিকার পঙ্গপালের আক্রমণ, আমেরিকা জুড়ে বিশাল জঙ্গলে আগুন ইত্যাদির ফলে সাংঘাতিক এবং সর্বোচ্চ ক্ষয়ক্ষতির সাক্ষী থেকেছে এই বছর।

তবে সবটাই খারাপ নয়, এবছর জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বেশকিছু ভালো খবর ও এনেছে।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী যুক্তরাষ্ট্রের জো বিডেন তার নির্বাচনী ইশতেহারে ২০৩৫ সালের মধ্যে আমেরিকার বিদ্যুৎ ব্যবস্থা কে কয়লা মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তার জয়ের ফলে এই প্রতিশ্রুতি পালন সম্ভব বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। এর সাথে সাথে চীনের সরকারের ২০৬০ সালের মধ্যে নেট কার্বন এমিশন শূন্য করার প্রতিশ্রুতি এই বছরের অন্যতম বড় খবর। বিশ্বজুড়ে তাবড় তাবড় কোম্পানি গুলি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামিল হচ্ছেন। এই বছরে কোম্পানিগুলির দ্বারা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার হার প্রায় ৪৬ শতাংশ বেড়ে গেছে। ওয়াল স্ট্রিটের ইনভেস্টররা জৈব বৈচিত্র বাঁচানোর উদ্যোগে সামিল হচ্ছেন।

বিজ্ঞানীরা করোনাভাইরাস এর দরুন হওয়া বিশ্বজুড়ে লকডাউন কে মাথায় রেখে আমাদের জেগে ওঠার ডাক দিয়েছেন। শহর অঞ্চলে বড় হওয়া শিশুরা সম্ভবত প্রথম বার দূষণমুক্ত পরিষ্কার আকাশ দেখেছে, পাখিদের গান শুনেছে, অসংখ্য প্রাণী দেখা গেছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। পরিষ্কার আকাশ, দূষণ মুক্ত বাতাস, সবুজ জঙ্গল আর নিটোল জলাভূমি আমাদের জন্মগত অধিকার। কিন্তু আমাদেরই কাজকর্মের জন্য ভবিষ্যতে শিশুরা সেই অধিকার থেকে এতদিন বঞ্চিত ছিল। লকডাউন পরবর্তী সময়, পরিবেশ, বাস্তুতন্ত্র এবং জলবায়ু কে রক্ষা করবার ডাক দেবে গোটা বিশ্ব। এটাই হোক নতুন বছরে আমাদের অঙ্গীকার।

তথ্যসুত্রঃ www.bloomberg.com

Leave a Comment