খবরা খবর

অতীতের আঁকা এই ছবিগুলিতে কি লুকিয়ে আছে জলবায়ু পরিবর্তনের রহস্য?

অতীতের আঁকা এই ছবিগুলিতে কি লুকিয়ে আছে জলবায়ু পরিবর্তনের রহস্য?

১৫০০ থেকে ২০০০ সাল অব্দি বিভিন্ন শিল্পীর আঁকা কতগুলো ছবি জলবায়ু গবেষকদের তুরুপের তাস হয়ে উঠতে পারে। সম্প্রতি গ্রীসের একদল বিজ্ঞানীদের গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণা শুরু হয় বিখ্যাত ইউরোপিয়ান চিত্রকর টার্নারের ১৮২৭-২৮ এবং ১৮৩০ এর শুরুর দিকের দুটি ছবি নিয়ে। দুটি ছবিরই বিষয়বস্তু এক; হ্রদ বা লেকের ওপর হওয়া সূর্যাস্ত। বিজ্ঞানিরা দেখেন যে ১৮৩০ এর শুরুর দিকের সূর্যাস্তের রঙের আভা ফেটে পড়ছে যেন আনবিক বোমা পড়েছে ক্যানভাসের ওপর।  বিজ্ঞানীরা তখন ১৫০০ সাল থেকে বিভিন্ন চিত্রকরের আঁকা প্রকৃতির ছবি গুলিকে অনুসন্ধান করতে শুরু করেন।

জেএমডাব্লু টার্নার দ্বারা “আগ্নেয়গিরির” সূর্যাস্ত 1828: আর / জি অনুপাত 1.14 (জেরেফোস, অপট সিটি থেকে)

কি পেলেন তারা? বিজ্ঞানীরা দেখলেন, অতীতে যে যে বছর গুলিতে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে, সেই সেই বছর গুলিতে বিভিন্ন চিত্রকরের আঁকা ছবি গুলিতে আকাশে রঙের ফুলঝুরি দেখা গেছে। আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণে বাতাসে কোটি কোটি সুক্ষ কণা বা এরোসল মিশে যায় যা সূর্যের রশ্মিকে রঙের ছটায় বিচ্ছুরিত করে।

 ১৮২৭-২৮ এর ছবি

বাতাসে এরোসলের বৃদ্ধির সাথে ছবিতে আকাশের লাল/সবুজ রঙের অনুপাত বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ যে যে বছর আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ হয়েছে সেই সেই বছরে আঁকা ছবিগুলির আকাশ অনেক বেশি লাল। এই তথ্যকে কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞানীরা ১৫০০ থেকে ২০০০ সাল অব্দি এই ৫০০ বছরে পৃথিবীতে এরোসলের পরিমান নির্ধারণ করেছেন। ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভোলিউসানের সময়ে বাতাসে দূষণ তথা এরোসলের বৃদ্ধিও শিল্পীর ছবিতে পরিষ্কার উঠে এসেছে।

এরোসল কিভাবে পৃথিবীর তাপমাত্রাকে প্রভাবিত করে এই তথ্য আমাদের পুরোপুরি জানা নেই। অতীতে এরোসলের বৃদ্ধি কি করে তাপমাত্রাকে প্রভাবিত করেছে তা জানলে ভবিষ্যতের চিত্রটি অনেকটাই পরিষ্কার হবে। লাল/সবুজ রঙের অনুপাত থেকে তো বিজ্ঞানীরা এরোসলের পরিমান বার করলেন, কিন্তু সেই সময়ের তাপমাত্রা তারা কি ভাবে পেলেন? এটা জানতে চোখ রাখুন টুকিটাকি বিভাগে।

বাবুয়ানের বিস্ফোরণের পরে জে এম ডাব্লু  টার্নারের “ভোলানিক” সূর্যাস্ত (সি 1833) (1831): আর / জি অনুপাত 1.76 (জেরেফোস, অপ্ট সিট থেকে)

১৮৩০ এর শুরুর দিকের ছবি

 

সুত্র – acp.copernicus.org

চিত্র – artinsociety.com

Leave a Comment