আপনি কি পরিবেশ বা জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ছোট কোন প্রজেক্ট করতে চান? আর্থিক এবং বৈজ্ঞানিক সহায়তায় সাথে আছে সবুজ পৃথিবী।
বিশ্ব পরিবেশ দিবসে সবুজ পৃথিবী কি করবে সেটা নিয়ে ব্রেন স্টর্ম চলছিল বেশ কয়েকদিন ধরেই। সন্দীপ দা আর আমি দুজন মিলে এটা মনে করেছিলাম যে বিশ্ব পরিবেশ দিবস আলাদাভাবে একদিন পালন করার কোন মানে হয় না। এখন আমাদের সাথে কাজ করছে পাঁচজন ইন্টার্ন এবং তারা অসাধারণ সব ভাবনা ইতিমধ্যেই আমাদের পেজে পোস্ট করেছে। এর বাইরে ও কিছু করার ইচ্ছে হচ্ছিল আমাদের বহুদিন থেকেই যেটাতে জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশ নিয়ে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের দিকে আমরা যেতে পারি। সেই উৎসাহ থেকে আজকে আমরা একটা মাইক্রো গ্র্যান্ট প্রোগ্রামের সূচনা করছি। সবুজ পৃথিবীর তরফ থেকে প্রতিমাসে আমরা একটি মাইক্রো গ্রান্ট রিলিজ করব এবং তার পদ্ধতি নিচে সবিস্তারে লেখা রইল।
জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশ নিয়ে প্রজেক্ট হতে হবে।
কোন একজনের স্বার্থে প্রজেক্টটি হলে চলবে না সেটি অন্তত বেশ কিছু মানুষের কাজে আসতে হবে।
গ্রান্টের সর্বোচ্চ মূল্য ৫০০০ টাকা এবং এটি আমরা প্রতি মাসে একজন বিজয়ী কে সরাসরি তুলে দেবো।
গ্র্যান্ট পাওয়ার পরে প্রজেক্ট শেষ হওয়া অব্দি সবুজ পৃথিবীকে সেই প্রজেক্ট এর সম্পর্কে সময়ে সময়ে আপডেট দিতে হবে এবং প্রজেক্ট শেষ হওয়ার পরে একটি রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
ভারত বর্ষ এবং বাংলাদেশের যে কোন মানুষ এই গ্রান্টের জন্য আবেদন করতে পারেন। ছাত্র-ছাত্রীরা বা ১৮ বছর বয়সের কম যারা আবেদন করবেন তাদের অবশ্যই লোকাল গার্জেনের অনুমতি লাগবে।
আবেদন করবার জন্য সবুজ পৃথিবীর ওয়েবসাইটে গিয়ে একটি ফরম ফিলাপ করতে হবে এবং সেখান যতটা সম্ভব ডিটেলস এ, বাংলা বা ইংরেজিতে আপনি কি ধরনের কাজ করতে চাইছেন, এই কাজের উদ্দেশ্য কি, সময়সীমা কি এবং এর ফলে কিভাবে পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে আমরা রুখে দাঁড়াতে পারি – এই নিয়ে লিখতে হবে।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এই ধরনের মাইক্রো গ্র্যান্ট জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশ দূষণের বিরুদ্ধে মানুষকে রুখে দাঁড়াতে সাহায্য করেছে। আমরা এই ধরনের বেশকিছু প্রোজেক্টের উদাহরণ দিতে পারি কিন্তু আমরা অনুরোধ করবো পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে যেকোনো ধরনের প্রজেক্টটি আপনি সাবমিট করতে পারেন।
শহরজুড়ে পাখির বাসা বসানো, কোন একটি স্কুলের জন্য ছাদ বাগান, চাষীদের জন্য ওয়ার্কশপ, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে শর্ট ফিল্ম বা গান, হাতে-কলমে পরিবেশ শিক্ষা। যেকোনো ধরনের প্রজেক্ট হতে পারে। ধরুন আপনি ঠিক করলেন স্থানীয় জলাভূমি গুলির জলের বিভিন্ন প্যারামিটার মাপতে চান, বা আপনি ঠিক করলেন বায়ু দূষণ মাপার একটি যন্ত্র বানাবেন, অথবা চাষীদের সয়েল টেস্টিং এর জন্য একটা ছোট্ট ল্যাব বা আপনি ঠিক করলেন গিটার নিয়ে গান করে মানুষকে বোঝাবেন জলবায়ু পরিবর্তন কিভাবে আমাদের ক্ষতি করছে। কোন ইনস্টলেশন হতে পারে, হতে পারে কোন কর্মশালা, সমীক্ষা বা একেবারে অন্য রকমের কিছু একটা যা হয়তো আগে কোথাও হয়নি। চটজলদি ফর্ম ফিলাপ করে আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিন, আমরা প্রতিমাসে এরকম একটি প্রজেক্ট কে সাপোর্ট করব। চেষ্টা করব আরো বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ার।
এই ফর্ম ফিলাপ করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
আমি ক্লাস নইনের ছাত্রী সঞ্চারী রায়চৌধুরী …আমি পরিবেশের প্লাস্টিক দূষণ নিয়ে একটা প্রবন্ধ লিখেছি …আমি অনেক জায়গায় থেকে অনেক তথ্য পেয়েছি এবং সেই তথ্য গুলো আমার লেখার মাধ্যমে সকলের কাছে পৌঁছে দিতে চাই …আমি আপনাদের সঙ্গে পরিবেশ বিষয়ে সচেতন বার্তা সকল মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চাই …আপনাদের আমার লেখা কিভাবে পাঠাবো যদি বলে দেন ভালো হয়